নীলকমল ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের চাউল বিতরনে চরম অনিয়ম

হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নে জাটকা রক্ষা কর্মসুচির আওতায় কর্মহীন নিবন্ধিত বরাদ্ধ করা চাউল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে জেলেরা।

নীলকমল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সরদার জাটকা রক্ষা কর্মসুচির ট্যাগ অফিসার ও ইউনিয়ের সচিব ছাড়া ৩৪৯৫ জন জেলেদের মধ্যে চাউল বিতরন করার কথা ছিলো কিন্ত এই চাউল বিতরনে অনেক অনিয়ম করেন, নীলকমলের চেয়ারম্যান ও ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আসাদুজ্জামান সপন।

তারা নিয়ম লঙন করে বরাদ্ধ কৃত ৪০ কেজি চাউল না দিয়ে ৩০ কেজির এক বস্তা করে দুই টিপের দুই বস্তা চাউল দেয়। যা ওজন দিলে দুই বস্তা মিলে ৫২/৫৩ কেজি হয়।

এই নিয়ে কার্ডদারী জেলেরা বলেন, ২০০ টাকা ভাড়া নিবে আবার চাউল কম দিবে, এলাকায় জেলেদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। ওই চাউল বিতরনে প্রত্যেক কার্ডদারী থেকে ২০০ টাকা করে আদায় করেন চেয়ারম্যান। এবং নিবন্ধিত অনেক জেলেদের কার্ড না দিয়ে চেয়ারম্যানের অনেক আত্মীয় দোকানদার চাকরিজীবিকে কার্ড দিয়েছেন।

জেলেদের অভিযোগ, এলাকায় তার ইচ্চামত নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান দোহাই দিয়ে গরিব অসহায় মানুষের উপড় অত্যাচার জুলুম চালিয়ে যাচ্ছে। যার কারনে ভয়ে কেউ মুখ খোলেনা।

তার বিবুদ্বে কেউ কিছু বললে তার ব্যক্তিগত বাহিনী দিয়ে বাড়ি থেকে দরে নেওয়ার হুমকি দেয়। 

শুধু স্থানীয় জেলে নয়, এ অনিয়মের বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা যে পরিষদের মেম্বার তা পরিচয় দিতে লজ্জা হয়, যেখানে দুই টিপে ৮০ কেজি চাউল দেওয়ার কথা সেখানে ৩০ কেজির দুই বস্তা চাউল দেয়, ওজন দিলে হবে মাত্র ৫২ কি ৫৩ কেজি। সে নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান সুবাদে অনেক অপকর্ম করে রেহাই পেয়ে যায়।

স্থানীয় সদস্যরা জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ দিলেও তার কোন তদন্ত বা বিচার হয় না, তাই কোথাও অভিযোগ করিনা।

ইউপি সচিব সহ ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের  নিয়ে চাইল বিতরনের নিয়ম থাকলেও কাওকে না জানিয়েই এক প্রকার গোপনে পরিষদের সব চাউল বতরন হয়েছে বলে জানিয়ে দেন।

এবিষয়ে প্রেসটাইম থেকে কয়েক বার তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আমাদের প্রতিনিদিরা যোগাযোগে ব্যার্থ হয়। 

তার অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসী বেগমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার অনিয়মের বিষয়টি আমি সামাজিক মাধ্যমে জেনেছি এবং তাকে চিঠি প্রদান করার পরও এ বিষয়ে এখোন কোন উত্তর দেয় নি। 

এ সকল অনিয়মকালে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা প্রতিবাদ করলে তার উপর হামলা করেন চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত বাহিনী। 

এই বিষয়ে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করা হলে এসআই জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ থানায় হয়নি এবং পুলিশের উপর হামলার বিষয়েও আমার জানা নেই। 

প্রেসটাইম/ইএফ 

পাঠকের মন্তব্য